ইউটিউবে দর্শকরা প্রথমে যেটা দেখে, তা হলো ভিডিওর থাম্বনেইল। আর সেটিই নির্ধারণ করে তারা ভিডিওটিতে ক্লিক করবে কি না। তাই ভিডিওকে আকর্ষণীয় করতে অবশ্যই একটি সুন্দর ও মনকাড়া থাম্বনেইল যোগ করা জরুরি। এই পোস্টে আমরা একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে কিভাবে একটি ভালো থাম্বনেইল তৈরি করবেন, তা ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে ভিডিও থাম্বনেইল কিভাবে বানাবেন
নতুন ইউটিউবারদের মনে প্রায়ই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়—"ভিডিও থাম্বনেইল কিভাবে বানাব?" ভিডিও তো তৈরি করছেন, সম্পাদনা করছেন, ভয়েসও দিচ্ছেন। কিন্তু যদি থাম্বনেইল ঠিকঠাক না হয়, তাহলে সেই ভিডিও কেউ দেখবে না। ফলে ভিউও আসবে না।
আপনি অনেক স্বপ্ন নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। সময় ও শ্রম দিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন, এডিট করছেন, নিজের সেরা কাজ তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারপরও যখন দেখছেন ভিডিওতে ভিউ আসছে না, তখন একজন অভিজ্ঞ ইউটিউবার হয়তো আপনাকে বলবেন—"আপনার ভিডিওতে কি ভালো থাম্বনেইল আছে?"
আপনি তখন ভাবতে শুরু করবেন—এই থাম্বনেইল আসলে কী?
থাম্বনেইল হচ্ছে একটি ছোট্ট ছবি, যেটা ভিডিওর উপরে দেখায় এবং প্রথম দর্শনেই দর্শকের নজর কাড়ে। এটাই নির্ধারণ করে কেউ ভিডিওটি দেখবে কি না। এখন যদি আপনি একটি অস্পষ্ট, বিবর্ণ বা এলোমেলো ছবি ব্যবহার করেন, যেখানে বোঝাই যাচ্ছে না ভিডিওটি কী বিষয়ে—তাহলে দর্শক ক্লিক করবেই না।
ধরুন আপনি একটি ভিডিও বানালেন: "মোবাইল দিয়ে কিভাবে ভিডিও এডিটিং শিখবেন"। এখন আপনি যদি একটি ঝকঝকে, রঙিন থাম্বনেইল দেন, যেখানে আপনি মোবাইল হাতে আছেন এবং বড় করে লেখা থাকে "মোবাইলে ভিডিও এডিটিং শিখুন সহজেই", তাহলে স্বাভাবিকভাবেই দর্শকের দৃষ্টি সেই ছবির দিকে যাবে, আর তারা ক্লিক করতেও আগ্রহী হবে।
সুতরাং, থাম্বনেইল কোনো বাড়তি বিষয় নয়—এটাই হচ্ছে আপনার ভিডিওর মুখ! যতটা সম্ভব এটিকে আকর্ষণীয়, পরিষ্কার এবং প্রাসঙ্গিক করে তুলুন।
অনেকে মনে করেন, থাম্বনেইল তৈরি করা বুঝি খুব জটিল কাজ—অনেক সফটওয়্যার লাগবে, ঝামেলা পোহাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে এটা মোটেই কঠিন নয়। আপনি যদি শুধু ফোন ব্যবহার করেন, তাহলেও খুব সহজেই সুন্দর থাম্বনেইল বানাতে পারবেন।
এর জন্য প্রথমে আপনার ফোন থেকে Play Store-এ যেতে হবে। সেখানে গিয়ে সার্চ বক্সে লিখুন "Canva"। কিছুক্ষণের মধ্যেই Canva অ্যাপটি আপনার সামনে চলে আসবে। এখন শুধু ইনস্টল করে ফেলুন। ব্যস! আপনি এখন থাম্বনেইল তৈরি করার জন্য প্রস্তুত।
অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে গেলে, সেটিতে প্রবেশ করুন। অ্যাপে ঢুকলেই উপরে একটি সার্চ বারের দেখা পাবেন। সেখানে লিখুন – "YouTube Thumbnail"। সার্চ করার পর আপনার সামনে অসংখ্য পেশাদার ডিজাইনের থাম্বনেইল টেমপ্লেট ভেসে উঠবে, যেগুলো আপনি নিজের মতো করে সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
এখন আপনি যে টেমপ্লেটটি পছন্দ করবেন, সেটির ওপর ক্লিক করে এডিটিং পেইজে প্রবেশ করতে হবে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি—Canva-তে সব টেমপ্লেট ফ্রি নয়। কিছু টেমপ্লেট একেবারে ফ্রি, আর কিছু প্রিমিয়াম, যেগুলো ব্যবহার করতে টাকা লাগে। তাই ফ্রি টেমপ্লেট বেছে নিলেই ভালো হয়।
টেমপ্লেট সিলেক্ট করার পর এখন সেটিকে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে হবে। প্রথমেই টেমপ্লেটে থাকা ডেমো মানুষের ছবিটিতে ক্লিক করুন এবং ‘ডিলিট’ অপশন থেকে সেটি সরিয়ে দিন। এরপর আপনার পছন্দের ছবি যুক্ত করুন, লেখা পরিবর্তন করুন এবং কালার, ফন্ট বা আকার সাজিয়ে নিন। এইভাবে ধাপে ধাপে পরিবর্তন করে আপনি খুব সহজেই একটি আকর্ষণীয়, ইউনিক থাম্বনেইল তৈরি করতে পারবেন।
ছবিটি সিলেক্ট করার পর নিচের দিকে আপনি একটি ‘Replace’ নামের অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি নিজের পছন্দের ছবি আপলোড করতে পারবেন। চেষ্টা করুন এমন একটি ছবি দিতে, যেখানে আপনার মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যায়, এক্সপ্রেশন পরিষ্কার এবং আকর্ষণীয় হয়।
ছবি আপলোড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেটি ১৬:৯ রেশিওর হয়, কারণ ইউটিউব থাম্বনেইলের জন্য এই রেশিওটাই আদর্শ। এতে আপনার থাম্বনেইলটি স্ক্রিনে সুন্দরভাবে ফিট করবে।
ছবিটি সিলেক্ট করার পর নিচের দিকে আপনি একটি ‘Replace’ নামের অপশন দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি নিজের পছন্দের ছবি আপলোড করতে পারবেন। চেষ্টা করুন এমন একটি ছবি দিতে, যেখানে আপনার মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যায়, এক্সপ্রেশন পরিষ্কার এবং আকর্ষণীয় হয়।
ছবি আপলোড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সেটি ১৬:৯ রেশিওর হয়, কারণ ইউটিউব থাম্বনেইলের জন্য এই রেশিওটাই আদর্শ। এতে আপনার থাম্বনেইলটি স্ক্রিনে সুন্দরভাবে ফিট করবে।
থাম্বনেইল কী এবং কেন থাম্বনেইল এতো গুরুত্বপূর্ণ
থাম্বনেইল হলো একটি ইউটিউব ভিডিওর মুখচ্ছবি—ভিডিওটি চালু না করেই যে ছবি প্রথমে দেখা যায়, সেটাই থাম্বনেইল। এই ছোট্ট ছবিটিই দর্শকের প্রথম নজরে আসে এবং সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে—সে ভিডিওটি দেখবে নাকি স্কিপ করে চলে যাবে।
অনেক নতুন ইউটিউবারই মনে করেন, কনটেন্ট ভালো হলেই হবে, থাম্বনেইল অতটা জরুরি না। কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। ইউটিউবে মানুষ আগে থাম্বনেইল দেখে, তারপর শিরোনাম পড়ে এবং সবশেষে সিদ্ধান্ত নেয় ক্লিক করবে কি না।
থাম্বনেইলের কাজ হলো ভিডিওর বিষয়বস্তু দর্শকের সামনে চটজলদি তুলে ধরা—এক ঝলকেই যেন বোঝা যায়, ভিডিওটি কিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। আকর্ষণীয় থাম্বনেইল দর্শকের কৌতূহল বাড়ায়, ক্লিক করায়, এবং শেষ পর্যন্ত ভিডিওর ভিউ বাড়ায়।
তাই, থাম্বনেইল শুধু একটি ছবি নয়—এটি আপনার ভিডিওর দৃষ্টিনন্দন বিজ্ঞাপন। যত যত্ন করে আপনি ভিডিও বানান, ঠিক ততটাই মনোযোগ দিয়ে থাম্বনেইল তৈরি করাও দরকার। কারণ, ভালো থাম্বনেইল মানে বেশি ভিউ, আর বেশি ভিউ মানে সফল ইউটিউব ক্যারিয়ারের এক ধাপ অগ্রগতি।
ভালো থাম্বনেইল কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
✅ দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে:
✅ ক্লিকের সংখ্যা বাড়ায়:
✅ ভিডিওর বিষয়বস্তু বোঝাতে সাহায্য করে:
✅ ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড গঠনে সহায়ক:
একটি ভালো ভিডিও থাম্বনেইলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন—ছবিটি হতে হবে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল, লেখাগুলো বড় ও সহজে পড়ার মতো হওয়া দরকার, আর যদি মুখে হাসি, অবাক বা খুশির মতো এক্সপ্রেশন থাকে তাহলে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়। থাম্বনেইলে অনেক বেশি তথ্য ভরে ফেলা ঠিক নয়, কারণ এতে জটিলতা বাড়ে। যা বলবেন, সেটাই থাম্বনেইলে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেতে হবে।
আপনি যদি ইউটিউবে নতুন হন, তাহলে থাম্বনেইল তৈরি করার গুরুত্ব শুরু থেকেই ভালোভাবে বোঝা খুবই জরুরি। কারণ, ভিডিও বানানোর পর সঠিক থাম্বনেইল না দিলে সেটি রান্না করে লবণ না দেওয়ার মতো—ভালো ফল পাওয়া কঠিন।
মনে রাখবেন, দর্শক প্রথমে আপনার থাম্বনেইল দেখবে, তারপর শিরোনাম পড়বে এবং তবেই ক্লিক করার সিদ্ধান্ত নেবে। যদি থাম্বনেইল ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন, ধীরে ধীরে আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়তে থাকবে। এইভাবেই ধাপে ধাপে আপনি একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে পথ চলা শুরু করতে পারবেন। তাই শুরুতেই একটু সময় ও চেষ্টা দিয়ে ভালোভাবে শিখে নিতে হবে—এটাই আপনার ইউটিউব যাত্রার জন্য সেরা উপায়।
নতুন ইউটিউবারদের জন্য থাম্বনেইলের ব্যাখ্যা
ধরুন, আপনি অনেক সময় ও পরিশ্রম দিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করলেন। কিন্তু ভিডিওটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না—কেমন লাগবে ভাবুন? এটা শুনে মন খারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। অনেকেই এমন অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু সমস্যা আপনার ভিডিওয় নয়, বরং ভিডিওর মুখ—অর্থাৎ থাম্বনেইলে। থাম্বনেইল হলো সেই ছবি, যা ইউটিউবে ভিডিও চালু না করেই প্রথমে দেখা যায়।
নতুন ইউটিউবারদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন শুধু ভালো ভিডিও বানালেই হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটি যথেষ্ট নয়। কারণ ইউটিউবে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও আপলোড হয়। আপনি যদি আলাদা কিছু না দেখান, তাহলে কেউ আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবে না। তাই চলুন দেখা যাক, কেন ভিডিওর থাম্বনেইল এত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, মানুষের চোখে প্রথমেই পড়ে থাম্বনেইল; তারপর যদি ভালো লাগে, তারা ভিডিওতে ক্লিক করে। তাই একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করলে আপনার ভিডিওতে বেশি ক্লিক আসবে। থাম্বনেইল ভিডিওর বিষয়বস্তু সহজে বোঝাতে সাহায্য করে। আর নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট রং, ফন্ট বা স্টাইল ব্যবহার করলে, তা আপনার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে। দর্শক থাম্বনেইল দেখে সহজেই বুঝতে পারবে ভিডিওটি আপনার।
অনেকে ভাবেন থাম্বনেইল তৈরি করা কঠিন কাজ। কিন্তু আপনি সহজেই মোবাইলের Canva অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সুন্দর থাম্বনেইল ডিজাইন করতে পারবেন। এই পোস্টের শুরুতেই সেটার প্রক্রিয়া আলোচনা করা হয়েছে।
ভালো থাম্বনেইলের বৈশিষ্ট্য হলো—বড়, মোটা এবং পরিষ্কার লেখা থাকবে, বেশি শব্দ নয়, ৩-৫ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, উজ্জ্বল রং ব্যবহার করতে হবে এবং স্পষ্ট ছবি রাখতে হবে। সম্ভব হলে নিজের মুখের এক্সপ্রেশন (যেমন হাসি, অবাক ভাব ইত্যাদি) যুক্ত করুন। তাই প্রতিটি ভিডিওর জন্য যত্ন নিয়ে ভালো থাম্বনেইল তৈরি করুন। নতুন ইউটিউবার হিসেবে এই ছোট্ট চেষ্টা ভবিষ্যতে আপনাকে সফলতার দিক নিয়ে যাবে।
একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেইলে কি কি থাকা দরকার
একটা ভালো ভিডিও যদি সুন্দরভাবে সাজানো না থাকে, অর্থাৎ তার থাম্বনেইল চমৎকার না হয়, তাহলে কেউ আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবে না। ভাবুন, আপনার সামনে দুইটি খাবার আছে—একটা সাধারণ সাদা ভাত আরেকটা সুস্বাদু ও সুন্দরভাবে সাজানো বিরিয়ানি। আপনি প্রথমে কোনটা খেতে চাইবেন? নিশ্চয়ই যেটা বেশি আকর্ষণীয় ও সুন্দর সাজানো। ঠিক একইভাবে ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেইলও কাজ করে। যেটা বেশি নজর কাড়বে, দর্শক আগে সেটাতেই ক্লিক করবে। তাহলে একটি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল বানাতে কী কী জিনিস দরকার? চলুন জানি—
১. স্পষ্ট এবং বড় লেখা: থাম্বনেইলের লেখা ছোট হলে পড়তে সমস্যা হয়। মোবাইলেও সহজে বুঝতে পারার জন্য বড়, মোটা অক্ষরে লেখা উচিত।
২. উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার: লাল, নীল, হলুদ মতো রং মানুষের চোখে বেশি পড়ে। তবে রংগুলো অতিরিক্ত ঝকঝকে বা চোখে কষ্ট দেওয়া হলে ভালো হয় না।
৩. মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড: থাম্বনেইলের ব্যাকগ্রাউন্ড ভিডিওর বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। যেমন, রান্নার ভিডিও হলে রান্নাঘর বা খাবারের ছবি, টিউটোরিয়ালে ল্যাপটপ বা সফটওয়্যারের স্ক্রিন রাখা যেতে পারে।
৪. মুখের এক্সপ্রেশন: যদি আপনি ভিডিওতে থাকেন, থাম্বনেইলে আপনার মুখ দেখা যাক। হাসির ভিডিওতে হাস্যোজ্জ্বল মুখ, ইমোশনাল ভিডিওতে অবাক বা চিন্তিত এক্সপ্রেশন থাকলে দর্শক আকৃষ্ট হয়।
৫. সংক্ষিপ্ত ও টানটান লেখা: যেমন—"মাত্র ৫ মিনিটে", "ভিডিওটি দেখলে চমকে যাবেন", "আশ্চর্য কৌশল" ইত্যাদি।
৬. লোগো বা ব্র্যান্ডের রং: আপনার নিজস্ব লোগো বা নির্দিষ্ট স্টাইল থাকলে দর্শক সহজেই আপনার ভিডিও চিনতে পারবে।
৭. ১৬:৯ রেশিও এবং উচ্চমানের ছবি: থাম্বনেইলের সাইজ অবশ্যই ১৬:৯ রেশিওর হতে হবে এবং ছবি যেন ব্লার বা অস্পষ্ট না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি "ফ্রিতে প্রফেশনাল লোগো ডিজাইন করুন" নামের ভিডিও করেন, থাম্বনেইলে আপনার হাসিমুখের ছবি থাকল, পাশে বড় অক্ষরে লেখা থাকবে "১০ সেকেন্ডে লোগো তৈরি", আর ব্যাকগ্রাউন্ডে কোনো ডিজাইন সফটওয়্যারের স্ক্রিনশট থাকল—তাহলে তা খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
সবশেষে বলা যায়, থাম্বনেইল এমন একটি ছবি হওয়া উচিত যা শিল্পীর আঁকা কোনো ছবি’র মতো যত্ন ও মনোযোগ দিয়ে তৈরি। বেশি কিছু না লিখে দরকারি কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন। থাম্বনেইলে যেন আপনার ভিডিওর গল্পের সূচনা থাকে, তখন দর্শক আগ্রহী হয়ে ভিডিও দেখবে।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে সুন্দর থাম্বনেইল তৈরি করবেন
ধরুন, আপনি একটি ভিডিও তৈরি করেছেন—“কিভাবে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন” এই বিষয়ে। এখন আপনি চান এমন একটি থাম্বনেইল ছবি বানাতে, যা দেখলেই দর্শক বাধ্য হয় আপনার ভিডিওতে ক্লিক করতে। আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, মোবাইল থেকে কি এটা তৈরি করা সম্ভব? এর উত্তর হলো, হ্যাঁ, একদম সম্ভব। প্রথমেই আপনার ফোনে একটি ভালো অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘Canva’ অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইন্সটল করুন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করা খুবই সহজ, এমনকি একেবারে নতুন যারা, তারা কয়েক মিনিটের মধ্যেই শিখে নিতে পারবেন।
অ্যাপটি ওপেন করলে উপরের দিকে সার্চ বক্স পাবেন। সেখানে “YouTube Thumbnail” লিখে সার্চ করুন। তখন আপনার সামনে অনেক সুন্দর টেমপ্লেট আসবে। সেখান থেকে আপনার পছন্দমত একটি বেছে নিন। এরপর নিজের মতো করে লেখা পরিবর্তন করুন, ছবি বদলান এবং রং ঠিক করুন। চাইলে আপনার নিজের হাসিমুখ বা অন্য কোনো এক্সপ্রেশন যুক্ত ছবি ব্যবহার করতে পারেন। লেখা সব সময় বড় ও মোটা অক্ষরে রাখুন, আর রং যেন খুব বেশি ঝকঝকে না হয়।
একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো—থাম্বনেইল যেন বেশি ভরে না যায়। সব কিছু একসাথে 넣লে দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারে। তাই সহজ ও সুন্দরভাবে, ৩-৫ শব্দের মধ্যে সংক্ষিপ্ত রাখা উচিত। সব কিছু ঠিকঠাক করে কাজ শেষ হলে “ডাউনলোড” বাটনে চাপ দিয়ে ছবি সেভ করে নিন। একটু ধৈর্য নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করুন। একদিনেই প্রফেশনাল ডিজাইনার হওয়া কঠিন, কিন্তু কয়েকটি থাম্বনেইল বানিয়ে দেখলেই আপনি পুরো প্রক্রিয়াটা ভালো করে বুঝে যাবেন। এই পোস্টের শুরুতেই এই সব ধাপ সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে।
কম্পিউটার ব্যবহার করে পেশাদার থাম্বনেইল বানানোর উপায়
এবার আপনার সামনে অনেক গুলো টেমপ্লেট চলে আসবে সেখান থেকে, আপনাকে আপনার পছন্দমত টেমপ্লেট বেছে নিতে হবে। টেমপ্লেট বেশি নেওয়ার পর সেখান থেকে এডিট মডিফাই করতে হবে। আপনার ছবি দিতে হবে, লেখা দিতে হবে এবং রং দিতে হবে। আপনি চাইলে ভিডিও থেকে কোনো ফ্রেম কেটেও ব্যবহার করতে পারেন। বেশি কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র স্পষ্টভাবে মুখ বোঝা যাবে এমন ছবি, একটি সুন্দর মানানসের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং একটি শক্তিশালী আকর্ষণীয় লেখা থাকলেই যথেষ্ট। সব ঠিক থাকলে উপরের ডান পাশে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে জেপিজি অথবা পিএনজি ফরমেট ডাউনলোড করে নিতে হবে।
একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে ভিডিও থাম্বনেইল কিভাবে বানাবেন-শেষ কথা
একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে ভিডিওর থাম্বনেইল কীভাবে বানাতে হয় তা আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, যত ভালো ও আকর্ষণীয় থাম্বনেইল তৈরি করবেন, ততই আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়বে। যদি সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে সুন্দর, পরিষ্কার এবং চোখে পড়ার মতো থাম্বনেইল তৈরি করেন, দর্শক অবশ্যই আপনার ভিডিওতে ক্লিক করবেন। শুরুতে মোবাইল ব্যবহার করে ফ্রি অ্যাপস যেমন Canva, Pixellab, অথবা Adobe Express দিয়ে ডিজাইন করতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো—আপনার ভিডিওর সাথে মানানসই এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ থাম্বনেইল তৈরি করা। থাম্বনেইলে যদি আকর্ষণীয় লেখা থাকে এবং সেটি ভিডিওর বিষয়বস্তু সাথে মেলে, তাহলে দর্শক ভিডিও মনোযোগ দিয়ে দেখবেন। এতে আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়বে এবং সাবস্ক্রাইবারও বৃদ্ধি পাবে। শুরুতে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেলে পেশাদার থাম্বনেইল তৈরি করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই এখনই শুরু করুন, ভালো থাম্বনেইল তৈরি করে আপনার ভিডিওকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরুন।